প্রতীক্ষায় আর অতীতের অপেক্ষায়
আনন্দের না বিরক্তির তা নির্ভর করে কোথায়, কিভাবে মুহূর্তগুলো পাড় হচ্ছে।
নিষ্ক্রিয় তথা নিরম্বু অপেক্ষা এক আবার সক্রিয় প্রতীক্ষা অন্য।
আমরা কায়মনবাক্যে অপেক্ষা, আর মোবাইল-ফোন নিয়ে প্রতীক্ষা করি।
সব অপেক্ষাই ভবিষ্যতের জন্য কিন্তু অতীতের জন্যও কি অপেক্ষা করি?
তা বৈ কি? কারন যখন অতীতের জন্য হা-হুতাশ করি সেটা এক ধরনের অপেক্ষাই বটে—
গোলাভরা ধান আর গালভরা হাসি, সে মাচান আর সে বদন কে না চায়?
বলা যাক, আমরা ভবিষ্যতের প্রতীক্ষায় আর অতীতের অপেক্ষায়,
কিন্তু বর্তমানে নিয়ে কি করি? যাপন করি? যাপন করা কাকে বলে?
কি করলে বলা যাবে সময় ব্যাবহৃত তথা যাপিত হয়েছে?
নিজের যা করার কথা ছিল তাই করতে পারলে কি জীবন যাপিত হয়?
নিজের কি করার কথা ছিল? নিজেকে কি চিনেছি? কিভাবেই বা নিজেকে চেনা যায়?
আমি কি? মানুষ। তো মানুষ কি? প্রাণী। প্রান কি? মন। W-h-a-t?
আরে ঐ যে কথা আছে না ‘প্রান চায় চক্ষু না চায়’—মানে ত মন চায়। তো মন কি?
প্রান+আমি=মন। অর্থাৎ প্রাণীমাত্রই প্রান আছে, কিন্তু মানুষ হিসেবে ‘আমার-প্রান’ হচ্ছে মন,
প্রানের ভেতর এই আমিত্ব যোগ হওয়াতে ‘মন’ এমন অনন্য, তাইতো মন নিয়ে লালন-
ফকির কত ‘ঝক্মারি’ পোয়ালো! আমরাও ত পোয়াচ্ছি—সেটাই কি ‘যাপন’?
এই যাপন করতে যেয়ে যা করছি, দেখছি তাতে কখনও অতীত কাঙ্খিত,
কখনও ভবিষ্যৎ বাঞ্ছিত আবার কখনও বর্তমান শঙ্কিত। ওমর খৈয়াম এর রুবাই অনুযায়ী,
অতীত ও ভবিষ্যৎ দুটোই ‘দূরের বাদ্য’ শুধু বর্তমানই বিবেচ্য।
সেই বর্তমানের প্রতি পল-অনূপল এ হাযির থেকে, সমস্ত নযীর ঘেঁটে,
যাবতীয় ঝক্মারি মেটানোর যে রকমারি পন্থা রয়েছে তা থেকে সর্বোৎকৃষ্ট-
খুঁজে বের করতে হলে প্রানের সাথে লাগে মনের।
মনের যোগ তখনি হবে যখন দেখবো যে আমার আমিত্ব পুষ্ট হচ্ছে এবং সেইক্রমে
‘সমস্ত-আমি’র আমিত্বসমূহ যেখানে পুরুষ্ঠু হয় সেই হচ্ছে সমাজ i.e. সভ্য সমাজ,
যেখানে ‘মন-পবনের-নাও’ বয়ে যেতে পারাই হচ্ছে জীবনের ‘যাপন’—
যার ‘ইন্তেযারি’ আমরা করেই চলেছি।
যে জীবন মনসম্মৃধ্য এবং মানসম্পন্ন যাপিত হয় সেই মন তথা সেই প্রান
তথা সেই প্রানী তথা সেই আমি’র জীবন হচ্ছে যাপিত। যে জীবন যাপিত
তা উদযাপিত হবার যোগ্য আর যা উদ্যাপিত হয় না, তা নির্বপিত ছাড়া আর কি?
অন্য কথা। আমরা যখন ‘তুমি’র জন্য প্রতীক্ষা করি তখন কেমন?
‘ঘর করিনু বাহির, বাহির করিনু ঘর’— অর্থাৎ বেচেইন অবস্থা।
‘এবার আসুক তারে আমি মজা দেখাবো’-- সেই কড়া কে মিঠে করতে ক্ষেত্র-
পাত্র ভেদে কত ছলা কসরত করে,কত কলা চর্চা করে,
কত হেলা উপেক্ষা করে এবং কত ‘ফেলা’ ডিঙিয়ে ধাপে ধাপে, ক্রমশ......।।।উ-ফ্-ফ্।
তবে প্রতীক্ষাকালীন বিভিন্ন ক্ষরণের মধ্যে অন্তত একটি রয়েছে যা শরীরের জন্য বেশ ভালো বলে মনে হয়।
প্রতীক্ষারত অবস্থায় যে ধরনের হৃদস্পন্দন ক্রমশ দ্রুতগামী হয় তাতে ধমনীর
ভেতর যদি ছোটোখাটো কোনও blockage থাকে, সেটা তোড়ে ছুটে যাবার কথা।
তাই এক বন্ধু বলছিলেন, মন-এ আবেগ কিন্তু ধমনীতে রক্তচলাচলের বেগ কম,
তাদের উচিত প্রতিনিয়ত প্রেমে ‘পতন এবং উত্থান’---
ছট্ফটা্নির কারনে heart এর block সমূহ ছুটে যাবেই,
কোনোরূপ balloon ফোলাতে হবে না অথবা by-pass ধরতে হবে না।
আর যাদের অবস্থা আরও নাজুক তাদের উচিত পরকীয়া এবং
সেই সুত্রে কার্নিশ বেয়ে উজানভাটি করা! একটু কঠিন এবং কিছুটা রুঢ় হোলেও নিদান বটে!
নিষ্ক্রিয় তথা নিরম্বু অপেক্ষা এক আবার সক্রিয় প্রতীক্ষা অন্য।
আমরা কায়মনবাক্যে অপেক্ষা, আর মোবাইল-ফোন নিয়ে প্রতীক্ষা করি।
সব অপেক্ষাই ভবিষ্যতের জন্য কিন্তু অতীতের জন্যও কি অপেক্ষা করি?
তা বৈ কি? কারন যখন অতীতের জন্য হা-হুতাশ করি সেটা এক ধরনের অপেক্ষাই বটে—
গোলাভরা ধান আর গালভরা হাসি, সে মাচান আর সে বদন কে না চায়?
বলা যাক, আমরা ভবিষ্যতের প্রতীক্ষায় আর অতীতের অপেক্ষায়,
কিন্তু বর্তমানে নিয়ে কি করি? যাপন করি? যাপন করা কাকে বলে?
কি করলে বলা যাবে সময় ব্যাবহৃত তথা যাপিত হয়েছে?
নিজের যা করার কথা ছিল তাই করতে পারলে কি জীবন যাপিত হয়?
নিজের কি করার কথা ছিল? নিজেকে কি চিনেছি? কিভাবেই বা নিজেকে চেনা যায়?
আমি কি? মানুষ। তো মানুষ কি? প্রাণী। প্রান কি? মন। W-h-a-t?
আরে ঐ যে কথা আছে না ‘প্রান চায় চক্ষু না চায়’—মানে ত মন চায়। তো মন কি?
প্রান+আমি=মন। অর্থাৎ প্রাণীমাত্রই প্রান আছে, কিন্তু মানুষ হিসেবে ‘আমার-প্রান’ হচ্ছে মন,
প্রানের ভেতর এই আমিত্ব যোগ হওয়াতে ‘মন’ এমন অনন্য, তাইতো মন নিয়ে লালন-
ফকির কত ‘ঝক্মারি’ পোয়ালো! আমরাও ত পোয়াচ্ছি—সেটাই কি ‘যাপন’?
এই যাপন করতে যেয়ে যা করছি, দেখছি তাতে কখনও অতীত কাঙ্খিত,
কখনও ভবিষ্যৎ বাঞ্ছিত আবার কখনও বর্তমান শঙ্কিত। ওমর খৈয়াম এর রুবাই অনুযায়ী,
অতীত ও ভবিষ্যৎ দুটোই ‘দূরের বাদ্য’ শুধু বর্তমানই বিবেচ্য।
সেই বর্তমানের প্রতি পল-অনূপল এ হাযির থেকে, সমস্ত নযীর ঘেঁটে,
যাবতীয় ঝক্মারি মেটানোর যে রকমারি পন্থা রয়েছে তা থেকে সর্বোৎকৃষ্ট-
খুঁজে বের করতে হলে প্রানের সাথে লাগে মনের।
মনের যোগ তখনি হবে যখন দেখবো যে আমার আমিত্ব পুষ্ট হচ্ছে এবং সেইক্রমে
‘সমস্ত-আমি’র আমিত্বসমূহ যেখানে পুরুষ্ঠু হয় সেই হচ্ছে সমাজ i.e. সভ্য সমাজ,
যেখানে ‘মন-পবনের-নাও’ বয়ে যেতে পারাই হচ্ছে জীবনের ‘যাপন’—
যার ‘ইন্তেযারি’ আমরা করেই চলেছি।
যে জীবন মনসম্মৃধ্য এবং মানসম্পন্ন যাপিত হয় সেই মন তথা সেই প্রান
তথা সেই প্রানী তথা সেই আমি’র জীবন হচ্ছে যাপিত। যে জীবন যাপিত
তা উদযাপিত হবার যোগ্য আর যা উদ্যাপিত হয় না, তা নির্বপিত ছাড়া আর কি?
অন্য কথা। আমরা যখন ‘তুমি’র জন্য প্রতীক্ষা করি তখন কেমন?
‘ঘর করিনু বাহির, বাহির করিনু ঘর’— অর্থাৎ বেচেইন অবস্থা।
‘এবার আসুক তারে আমি মজা দেখাবো’-- সেই কড়া কে মিঠে করতে ক্ষেত্র-
পাত্র ভেদে কত ছলা কসরত করে,কত কলা চর্চা করে,
কত হেলা উপেক্ষা করে এবং কত ‘ফেলা’ ডিঙিয়ে ধাপে ধাপে, ক্রমশ......।।।উ-ফ্-ফ্।
তবে প্রতীক্ষাকালীন বিভিন্ন ক্ষরণের মধ্যে অন্তত একটি রয়েছে যা শরীরের জন্য বেশ ভালো বলে মনে হয়।
প্রতীক্ষারত অবস্থায় যে ধরনের হৃদস্পন্দন ক্রমশ দ্রুতগামী হয় তাতে ধমনীর
ভেতর যদি ছোটোখাটো কোনও blockage থাকে, সেটা তোড়ে ছুটে যাবার কথা।
তাই এক বন্ধু বলছিলেন, মন-এ আবেগ কিন্তু ধমনীতে রক্তচলাচলের বেগ কম,
তাদের উচিত প্রতিনিয়ত প্রেমে ‘পতন এবং উত্থান’---
ছট্ফটা্নির কারনে heart এর block সমূহ ছুটে যাবেই,
কোনোরূপ balloon ফোলাতে হবে না অথবা by-pass ধরতে হবে না।
আর যাদের অবস্থা আরও নাজুক তাদের উচিত পরকীয়া এবং
সেই সুত্রে কার্নিশ বেয়ে উজানভাটি করা! একটু কঠিন এবং কিছুটা রুঢ় হোলেও নিদান বটে!
Post a Comment